সেই রাতে হৃদির কী জানি হলো; বারবার ওই ছেলের কথাটি মাথায় ঘুরঘুর করতে থাকল! সে যখন কথাটি বলছিল, তখন তার চোখে ছিল প্রিয় মানুষ হারানোর ভয়; হৃদি তা স্পষ্ট দেখেছে। ছেলেটি হয়তো ওকে অনেকদিন থেকেই অনুসরণ করছে। একজন মানুষকে কল্পনা করতে করতে একেবারে হৃদয়ের আসনে বসিয়ে না দিলে এত বড় কথা হুট করে বলা সম্ভব না! অনেকদিন ধরে তিল তিল করে স্বপ্নকে পরিচর্যা না করলে চোখের তারায় প্রিয় মানুষ হারানোর ভয় তৈরি করা যায় না! `অপ্সরা’ নামের এই উপন্যাসটিই আসিফ মেহ্দীর লেখা প্রথম জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাস। উপন্যাসের হৃদি তথা অপ্সরা চরিত্রটি লেখকের এক অনন্যসাধারণ সৃষ্টি। ‘অপ্সরা’ পড়ে অপ্সরার জন্য কাঁদেননি, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কাহিনির জীবনঘনিষ্ঠতা পাঠকের মন জয় করেছে বলেই বইটি ছিল বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়।
‘অপ্সরা’ সেলফ-মোটিভেটেড এবং সেলফ-গাইডেড এক মেয়ের কাহিনি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সহজ-সরল মেয়ে হৃদির নাম কেন অপ্সরা হলো এবং পরবর্তীতে সেই নামেই কেন সে পরিচিত হতে চাইল, তার পেছনেও রয়েছে দৃঢ় প্রত্যয় ও কঠিন সংকল্পের গল্প। আত্মপ্রত্যয়ী `অপ্সরা’ অসত্যকে গুঁড়িয়ে দেয়, পাপকে পুড়িয়ে দেয়, অন্যায়কে উড়িয়ে দেয়! সহজ-সরল-প্রণোচ্ছ্বল অপ্সরার জীবনে এক পর্যায়ে আঘাত হানে ভয়াবহ কষ্টের টাইফুন। তবে নিজগুণে সেই শোককেই শক্তিতে কনভার্ট করে অপ্সরা! বেগুনি রঙের তেজস্বিতা এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার প্রধান নিয়ামক। বেগুনি রঙ দেখলে তার ভেতরের শোকের অণুগুলো যেন শক্তির অণুতে রূপান্তরিত হয়! রহস্যেঘেরা ম্যাজিকাল চরিত্রের অধিকারী অপ্সরা হাসলে তার চারপাশের প্রকৃতি ও জীবনও যেন হেসে ওঠে! আবার, অপ্সরা কাঁদলে চতুর্পাশও যেন কেঁদে ওঠে! শঠতা, কপটতা, অন্যায়, অবিচার প্রতিহত করার শপথে বাংলার পথে অপ্সরার পথচলা।
#আসিফ_মেহ্দী
#Asif_Mehdi
Reviews
There are no reviews yet.